আসসালামুআলাইকুম। Friends IT point এর পক্ষ থেকে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের আজকের আলোচনার বিষয়ঃ ইন্টারনেট কী? ইন্টারনেট আবিস্কারের সঠিক ইতিহাস । ইন্টারনেটের ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য প্রসঙ্গটিকে সম্পূর্ণ তিনটি আলাদা আলাদা পোস্টের মাধ্যমে তুলে ধরার চেস্টা করব ইনশাআল্লাহ। তাহলে চলুন আল্লাহর নামে শুরু করা যাক।
ইন্টারনেট কি? বা ইন্টারনেটের আসল কাজ কি?
ইন্টারনেট শব্দের অর্থ অন্তর্জাল। অন্তর্জাল বা ইন্টারনেট হল সারা পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত, পরস্পরের সাথে সংযুক্ত কতগুলো Computer Network এর সমষ্টি যেখানে আইপি (ইন্টারনেট প্রটোকল) এর মাধ্যমে ডাটা বা তথ্যের আদান-প্রদান করা হয় । পৃথিবীর সকল কম্পিউটারকে একে অপরের সাথে সংযুক্ত করা এই ইন্টারনেটের মাধ্যমেই।
ইন্টারনেট আবিস্কারের সঠিক ইতিহাস
আপনি যদি বিস্তৃত এবং সর্বদা পরিবর্তিত প্রযুক্তির প্রত্যাশা করেন তবে কোনো একক ব্যক্তির কাছে ইন্টারনেট আবিষ্কারের কৃতিত্ব অসম্ভব।
বড় বড় বিজ্ঞানী, প্রোগ্রামার এবং ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ ছিল ইন্টারনেট নিয়ে। উনারা ইন্টারনেটের জন্য নতুন নতুন বৈশিষ্ট্য উদ্ভাবন করেছিল যা অবশেষে আজকে “তথ্য সুপারহাইওয়ে” হয়ে উঠেছে।। 1900 এর দশকের গোড়ার দিকে “ওয়ার্ল্ড ওয়্যারলেস সিস্টেম” ধারণাটি দিয়েছিলেন নিকোলা টেসলা। যান্ত্রিক, অনুসন্ধানযোগ্য বই এবং মিডিয়াগুলির স্টোরেজ সিস্টেমের কল্পনা করেছিলেন ভেনেভর বুশের মতো দূরদর্শী চিন্তাবিদ 1930 এবং 1940 এর দশকে। তবুও, 1960 এর দশকের গোড়ার দিকে ইন্টারনেটের প্রথম ব্যবহার শুরু হত না , যদি MIT’s J.C.R. এর লিক্লাইডার কম্পিউটারগুলির “ইন্টারগ্যালাকটিক নেটওয়ার্ক” ধারণাটি জনপ্রিয় করে না তুলতো। এর কিছুদিন পরে, “প্যাকেট স্যুইচিং” ধারণাটি বিকশিত করেছিলেন কম্পিউটার বিজ্ঞানীরা। প্যাকেট স্যুইচিং কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে বৈদ্যুতিক তথ্য প্রেরণের জন্য একটি কার্যকরী পদ্ধতি । ১৯60 এর দশকের শেষদিকে ইন্টারনেটের প্রথম কার্যক্ষম প্রোটোটাইপটি ARPANET, or the Advanced Research Projects Agency Network তৈরির মাধ্যমে এসেছিল।
প্রথম কম্পিউটারটি ইউসিএলএর একটি গবেষণা ল্যাবে অবস্থিত ছিল এবং দ্বিতীয়টি স্ট্যানফোর্ডে ছিল। প্রত্যেকটি প্রায় একটি ছোট বাড়ির আকার ছিল।
ARPANET ১৯৮৩ সালের ১ জানুয়ারি টিসিপি / আইপি তৈরি করেছিলেন এবং সেখান থেকে গবেষকরা “নেটওয়ার্ক টু নেটওয়ার্ক” একত্রিত করা শুরু করে যা আজকের আধুনিক ইন্টারনেট হয়ে উঠেছে। ১৯৯0 সালে কম্পিউটার বিজ্ঞানী টিম বার্নার্স-লি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (WWW) উদ্ভাবন করার পরে অনলাইন বিশ্বটি আরও একটি স্বীকৃত রূপ নিয়েছিল।
বিজ্ঞানী টিম বার্নার্স-লি এর এই আবিষ্কার ওয়েব ইন্টারনেটকে জনসাধারণের মধ্যে জনপ্রিয় করতে সহায়তা করেছে এবং বিশাল পরিমাণে বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবে কাজ করেছে।
বিশ্বে ইন্টারনেট চালু হয় ১৯৬৯ সালে, এবং বাংলাদেশে ইন্টারনের চালু হয় ১৯৯৬ সালে।
ইন্টারনেটের জনক ভিনটন জি কার্ফ।
এই টপিকের মাধ্যমে আমরা ইন্টারনেট কী? ইন্টারনেট আবিস্কারের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানলাম। পরের টপিক এ আমরা যা কিছু জানব-
৩। ইন্টারনেটের জন্য কেমন খরচ হয়?
৪। Tier 1, Tier 2 এবং Tier 3 কি?
পরিশেষে একটি কথা বলতে চাই, ইন্টারনেট কী? ইন্টারনেট আবিস্কারের সঠিক ইতিহাস এই পোস্টটি সম্পর্কে কোন প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে নিচে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না।
Janar jonne aggrohi
Thanks. Amader sathe connected thakun. Aro jante parben. Follow korun amader fb page.